আজ বুধবার, ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দেলপাড়া সড়কের বেহাল দশা

আমি এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো- উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার

 বিষয়টি আমার জানা নেই- সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী

পেয়ারাবাগান এলাকার রাস্তা তো পুরো ঢালাই করা! – ইউপি চেয়ারম্যান

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার হচ্ছে না ফতুল্লা কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া পেয়ারা বাগান এলাকার সড়কটির। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাটুঁ পানি। এছাড়াও নেই কোন কার্পেটিং সেই সাথে গর্ত আর খানাখন্দ। যার ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের। বেশ কয়েকবছর যাবৎ সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে ওই এলাকাবাসী। তবে, কৃর্তপক্ষের ব্যর্থতায় দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটির বেহাল দশা। এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

বিষয়টি জানতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে দৈনিক সংবাদচর্চা থেকে মুঠোফোন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, পেয়ারাবাগান এলাকার রাস্তা তো পুরো ঢালাই করা, আপনি ভুল ঠিকানায় গিয়েছেন।

শনিবার (২৫ মে) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি ছাড়াই রাস্তায় পানি জমে একাকার হয়ে আছে। ভাঙ্গা, গর্ত আর খানাখন্দে ভরা পুরো রাস্তা।

এলাকাবাসী জানায়, পেয়ারা বাগান এলাকার সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। কারণ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কর্মজীবি মানুষ, সরকারি চাকুরীজীবি সহ হাজারো মানুষের পদচারণার মুখর থাকে এই এলাকার রাস্তা। সড়কটির এমন বেহাল দশা হওয়ায় কোন মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে না। অনেক দিন যাবৎ এই রাস্তার সংস্কার করা হয়না। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে এলাকাবাসী। তাদের দাবী, অতি শীঘ্রই যেন এই রাস্তাটির সংস্কারের বিষয়ে একটু দৃষ্টি দেয় কর্তৃপক্ষ।

দেলপাড়া এলাকার রিক্সাচালক হামিদ মিয়া বলেন, বহু দিন ধরে এই রাস্তাটির এমন বেহাল দশা। যাত্রী নিয়া যাতায়াত করতে প্রচুর কষ্ট হয়। গাড়ী টাইন্না নিতে গেলে দম বের হইয়া যায়। রাস্তাটির অনেক জায়গা ভাঙ্গা, গর্ত। রিক্সারও কিছু থাকেনা। আজকে এই সমস্যা কালকে ওই সমস্যা। কি করার, আমরাতো পাবলিক আমরা কি করমু। যেমন রাস্তা তেমন কইরাই তো আমাদের চলতে হইবো।

শিক্ষার্থী ইরফান আহসান বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে নতুন কিছু বলার নেই। অনেক দিন ধরেই এমন বেহাল দশা। রাস্তাটির বেশ কিছু জায়গায় ভাঙা, কোথাও আবার খানাখন্দ। সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ যদি দৃষ্টি না দেয় সেক্ষেত্রে আর কি করার। এর আগে কয়েকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তেমন কোন হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেনি কেউ। দেলপাড়া এলাকার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার এমন অবস্থা থাকবে এটা আসলে খুবই দুঃখজনক। জনপ্রতিনিধি থাকা স্বত্তেও তেমন কিছু লক্ষ্য করা যায়নি।

বিষয়টি মুঠোফোনে উপস্থাপন করা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলমের কাছে। তিনি বলেন, ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকার প্রায় সব রাস্তাই আরসিসি ঢালাই করে নির্মাণ করা। তবে কিছু রাস্তার সংস্কার না হতে পারে। এ বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে বিষয়টি সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন ইঞ্জিনিয়ার।

তার কথা মতো মুঠোফোন করা হয় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আনিসুজ্জামানকে। তিনি বলেন, রাস্তাটি আমি ঠিক আচঁ করতে পারছি না। তবে আমার সহকারীর সাথে কথা বলে আমি এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।

খুব শীঘ্রই সড়কটির সংস্কার চায় এলাকাবাসী। বছরের পর বছর যাবৎ মানুষ ওই রাস্তার জন্য কষ্ট করছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দেলপাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ।